21 C
Dhaka
Monday, December 23, 2024

অস্থির ডিমের বাজার, ১টির দামই ১৪ টাকা

ডিমকে বলা হয় আমিষের সহজলভ্য উৎস। কিন্তু ডিমের বাজার ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠেছে। গেল কয়েকদিনের ব্যববধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বাজারে লাল ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা হালি। সেই হিসাবে এক ডিমের দাম পড়ছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন তীব্র গরমের জন্য ডিমের দাম বাড়ছে।

ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য তীব্র গরম, বাজারে সরবরাহ কম বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমে ডিম উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, বাজারে সরবরাহ কমেছে, ফলে দাম বাড়তি যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  স্পিড বোট পাঠানোর দাবিতে ভোরেই বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে নাহিদ

শুক্রবারের ডিমের বাজার চিত্রে দেখা যায় ১০/১৫ দিন আগেও খুচরা বাজারে লাল ডিমের ডজন ১২০ টাকা ছিল। সেই দাম বেড়ে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আর প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা।

এর আগে ডিমের অস্বাভাবিক দামের লাগাম টানতে গত বছর আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। পাশাপাশি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল প্রতি পিস ডিমের দাম। এতে নিয়ন্ত্রণে আসে বাজার। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গত ১৫ মার্চ যে ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল, তাতে একটি ডিমের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজার দর অনুযায়ী, প্রতি হালি ডিমের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিমের দাম সাড়ে ১২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  সচক্ষে দেখতে চাই, কারা আমার বাবাকে হত্যা করলো: এমপি আজিমের মেয়ে

খামারিরা বলছেন, খামারে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ৯ থেকে সাড়ে ১০ টাকা। কিন্তু তাদের কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এই দামেও সিন্ডিকেটের কারণে লাভ হচ্ছে না। ক্রেতারা জানান, প্রতিদিনই ডিমের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখনই দামের লাগাম টেনে না ধরলে সামনে ডিম কেনা অসম্ভব হয়ে উঠবে। বাজার মনিটরিং কমিটি হয় শুধু কাগজেই।

ফলে ইচ্ছামতো দাম বেঁধে দেয় সিন্ডিকেট। আর সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমঝোতা রয়েছে বলেও তাদের অভিযোগ।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ