জামায়াতে ইসলামী বর্তমানে নির্বাচনের চেয়ে দেশের সংস্কারের প্রতি বেশি মনোযোগী বলে জানিয়েছেন, দলের আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অপরাজনীতির বড় শিকার জামায়াতে ইসলামী।
গত ১৫ বছরে, অন্তত ৫শ’ নেতাকর্মীকে হত্যা-গুম এবং হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন-পীড়ন চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট। তবুও জামায়াতকে ন্যায়ের পথ থেকে বিচ্যুত করা যায়নি। পতিত অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো প্রজ্ঞাপন কিংবা আদেশ কার্যকর নয় বলেও জানান ডাঃ শফিকুর রহমান।
গত ১৫ বছরের আওয়ামী আমলে বাংলাদেশের প্রতিটি ইনস্টিটিউটকে অযোগ্য-অদক্ষ ও দুর্নীতিবাজদের দিয়ে দখল ও বিভক্ত করে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সাথে ধ্বংসের প্রক্রিয়া চালানো হয় ভিন্ন মতের রাজনৈতিক ইনস্টিটিউটগুলোতেও।
এরই অংশ হিসেবে প্রতিহিংসার শিকার হয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির।
মিছিল-মিটিংসহ অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মসূচি তো দূরের কথা, নিজ বাড়ীতেও থাকতে পারেনি অনেক জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী। হারিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান। তারপরেও সততা, নৈতিকতা, আদর্শ ও ঐক্যবদ্ধতার কারণে অন্যায়কে পরাজিত করে অখণ্ড অবস্থানে টিকিয়ে রাখতে পেরেছে দলকে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও তার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ১ আগষ্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে।
দল নিষিদ্ধের ব্যাপারে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিনা ভোটে অবৈধভাবে ক্ষমতায় ছিল। তাদের কোনো প্রজ্ঞাপন ও আদেশ কার্যকর নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জামায়াত জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করে যাবে বলেও জানান আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াতে ইসলামী এজন্য বর্তমানে নির্বাচনের চেয়ে দেশের সংস্কারের প্রতি বেশি মনোযোগী বলে জানান দলটির আমীর।