টাঙ্গাইলে সখীপুরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমি ড. ইউনূসকে খুবই ভালোবাসি, পছন্দ করি। তিনি গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে যখন বিপদে পড়েছিলেন, তখন আমি তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তাকে সাহস দিয়েছিলাম।
আমি শেখ হাসিনাকেও বলেছিলাম, এ রকম একজন মানুষের লেজ কাটতে গিয়ে আপনি ভালো কাজ করছেন না। তাকে আপনি সাহায্য করুন। কিন্তু শেখ হাসিনা তা শোনেননি। তার (ড. ইউনূসের) লেজ কাটতে কাটতে শেখ হাসিনার লেজই কাটা হয়ে গেছে।’
সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে সখীপুরে উপজেলার তালতলা চত্বরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এক জনসভায় দলটির সভাপতি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, দেশটা আওয়ামী লীগের না, বিএনপি কিংবা জামায়াত, ১৪ দলের নয়। এ দেশ ১৮ কোটি মানুষের। রাজনীতি করতে হলে মানুষকে সম্মান করতে হবে। যারা মানুষকে তা করতে জানে না তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
নিজের গাড়িতে হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, কিছু লোক বলে বিএনপি ভাঙছে কিছু লোক বলে জামায়াত-শিবির জড়িত কিন্তু তাদের তো আমি চিনি। আমি বলি শয়তান এ কাজ করছে। যদি আমার আরেকটি গাড়ি ভাঙচুর করেও দেশের শান্তি আসে তাতেও কোনো দুঃখ নেই।
বিএনপির উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা জয়ী হয়েছে, তাই বলেই বিএনপি ক্ষমতায় বইসা পড়ছেন, এ রকম ভাববেন না। পাবলিক যদি সমর্থন না করে, তাহলে আওয়ামী লীগের যে দশা হয়েছে, আপনাদেরও তার চেয়ে কম হবে না।’
বিএনপির উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা জয়ী হয়েছে, তাই বলেই বিএনপি ক্ষমতায় বইসা পড়ছেন, এ রকম ভাববেন না। পাবলিক যদি সমর্থন না করে, তাহলে আওয়ামী লীগের যে দশা হয়েছে, আপনাদেরও তার চেয়ে কম হবে না।’
তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের আপনি ডাকতে পারতেন। তোমরা আসো, আমি তোমাদের সাথে কথা বলি। তিনি ভাব ধরে বসে রইলেন, যদি তাদের ইচ্ছে হয় তারা আসতে পারে। পরে আন্দোলনকারীদের ইচ্ছে, হয়েছে আপনাকে ঘাড় ধরে বের করে দিয়েছে।’
সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বলেন, ‘শেখ হাসিনার পোলা জয় বাবা তুমি যেগুলো বলো এখানে যারা আছে তাদের অনেক কষ্ট হয়। তোমার মায়ের পায়ের জুতা হয়ে যারা ছিল তাদের এখন জীবন বাঁচে না। তুমি সকালে এক কথা বিকেলে এক কথা বইলা মানুষের কষ্ট আর বাড়াইও না। আদব-কায়দা শেখ বড় হও।’
উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুস সবুর খানের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সালেক হিটলু, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন,
বাসাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র রাহাত হাসান টিপু, পৌর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবু জাহিদ রিপন, উপজেলা কমিটির সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন, দুলাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।