21 C
Dhaka
Monday, December 23, 2024

পুলিশ ট্রাক আটকে রাখায় গরমে মারা গেল ৫ লাখ টাকার মৌমাছি

রাজবাড়ীতে প্রচণ্ড গরমে এক মৌচাষির ৯১ বাক্স মৌমাছি মরে গেছে। এতে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মৌ চাষি মো. খলিফর রহমান (৬৫)। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের শায়েন্তাপুর গ্রামে গিয়ে মরা মৌমাছিগুলো পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

মৌচাষি মো. খলিফর রহমান জানান, তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামে। তিনি দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ থাকেন। প্রায় এক যুগ আগে তিনি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে মৌ চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মৌমছির চাষ শুরু করেন। প্রতি মৌসুমেই তিনি সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের শায়েন্তাপুর গ্রামে মৌমাছি নিয়ে মধু সংগ্রহের জন্য আসেন।

আরও পড়ুনঃ  মেট্রোরেল চালু কবে, জানাল কর্তৃপক্ষ

তিনি বলেন, গত সোমবার (১৩ মে) দিনাজপুর থেকে ট্রাকে করে ২৫১ বাক্স মৌমাছি নিয়ে রাজবাড়ীতে আসছিলাম। পথে রাজবাড়ীর মনষার বটতলা এলাকায় এলে একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে আমাদের ট্রাকটির একটু ঘষা লাগে। এসময় প্রাইভেটকারের চালক পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে আমাদের ট্রাকের কাগজপত্র চেক করতে করতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে শায়েন্তাপুর গ্রামে এসে ট্রাক থেকে মৌমাছির বাক্স নামিয়ে দেখি প্রচণ্ড গরমে ৯১ টি বাক্সের সব মৌমাছি মরে গেছে। এতে আমার পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আমি একজন সরকারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মৌ চাষি। সরকারের কাছে আমার দাবি আমাকে যেন ঘুরে দাঁড়াতে কিছুটা সহযোগিতা করে।’

আরও পড়ুনঃ  এমপি আনারের মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে ধোঁয়াশা

তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলেছিলাম যে, আমার ট্রাকে বাক্সে মৌমাছি আছে। আমাকে একটু তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেন। কিন্তু পুলিশ আমার কথা শোনেনি। যে কারণে আমার এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল।’

শায়েস্তাপুর গ্রামের মতিউর রহমান মুন্নু বলেন, ‘এলাকায় মৌমাছি থাকলে ফসলের উৎপাদন ভালো হয়। এজন্য প্রতি মৌসুমেই আমার মেহগনি বাগানে মৌচাষ করার জন্য আমরা খলিফর রহমানকে আনি। এতে উনিও লাভবান হন, আমাদেরও ফসল ভালো হয়। তবে এবার মৌমাছি নিয়ে আসতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে ওনার ৯১ বাক্স মৌমাছি মারা গেছে। এতে উনি বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’

আরও পড়ুনঃ  অস্থির ডিমের বাজার, ১টির দামই ১৪ টাকা

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, ‘মৌচাষিদের প্রশিক্ষণসহ সব সমস্যা-সম্ভাবনার বিষয় দেখার দায়িত্ব বিসিকের। যেহেতু উনি অন্য জেলার চাষি, সেহেতু উনি ওনার জেলার বিসিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতা চাইতে পারেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ