ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, দীপু মনি, জিয়াউল আহসান, আ স ম ফিরোজকে আদালতে তোলা হলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ‘ফাঁসি চাই’, ‘ফাঁসি চাই’ বলে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের উদ্দেশ করে বলেন, এত বেশি বার বাড়া ভালো না। তখন আইনজীবীরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন।
শনিবার (২৪ আগস্ট) ঘটে। একপর্যায়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বিক্ষুদ্ধ আইনজীবীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে আসামিদের উদ্দেশ করে ফারুকী বলেন, আপনারা এখানে বেশি ভাব দেখাবেন না।
এখানে আপনারা একিউজড এর মতো থাকেন। কারণ, আপনারা ভাব দেখালে আইনজীবীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়বে। এ সময় বাকি আসামিরা ডকে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
পরে সন্ধ্যায় আ স ম ফিরোজকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গত ১৯ জুলাই বিকেলে ভাটারা থানাধীন ফরাজী হাসপাতালের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সোহাগ মিয়া। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট তার বাবা শাফায়েত হোসেন ভাটারা থানায় হত্যা মামলা করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯২ জনকে মামলায় আসামি করা হয়।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৯ জুলাই বিকেল ভাটারা থানার ১০০ ফিট রোডের ফরাজী হাসপাতালের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে সরকারি নির্দেশনায় গুলিবর্ষণ করলে আমার ছেলে সোহাগ মিয়ার (১৬) বাম কানের মধ্যে লেগে মাথার পেছন দিয়ে গুলিটি বেড়িয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। পরে এ মামলায় আ স ম ফিরোজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আ স ম ফিরোজ তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনসহ আটবার জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।