বাংলাদেশ একটি বৃহৎ পরিবার যেখানে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তিনি এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চান যেখানে সবাই কোনো ভয় ছাড়াই তাদের ধর্ম পালন করতে পারে এবং যেখানে কোনো মন্দির পাহারা দিতে হবে না।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস হিন্দু নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে কোনো বিভাজন থাকতে পারে না। আমরা সমান নাগরিক। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মাষ্টীর শুভেচ্ছা জানিয়ে হিন্দু নেতারা বলেন, তারা জাতির সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি এবং অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য শ্রী কৃষ্ণের আশীর্বাদ চেয়েছেন। তারা দেশের বন্যা কবলিত অঞ্চলে জন্মাষ্টমী উদ্যাপন স্থগিত করেছেন। সেই সঙ্গে বন্যাকবলিত অঞ্চলে খাদ্য ও ত্রাণ পাঠিয়েছেন তারা।
হিন্দু নেতারা পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রশংসা করে বলেছেন, এটি দেশে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ে তুলতে এবং সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এসময় তারা হিন্দু মন্দিরের জমিসহ হিন্দু সম্পত্তি দখলের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। শীর্ষ হিন্দু নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা কাজল দেবনাথ ও মনীন্দ্র কুমার নাথ, ইসকনের চারুচরণ ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের বাসুদেব ধর ও সন্তোষ শর্মা এবং ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রীতি চক্রবর্তী।