বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা ছিল। তবে, নির্ধারিত এ সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে পারবে না বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
সরকার পতনের ধাক্কায় ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ পিছিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। যদিও, কিছুটা পেছালেও সেপ্টেম্বর মাসেই ফল প্রকাশ করতে চাচ্ছেন তারা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. সাইফুল্লাহিল আজম।
শিক্ষক নিবন্ধনের বিধিমালা অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা নেয়ার ষাট দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। গত ১২ ও ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল সে অনুযায়ী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকাশের কথা। তবে তা হচ্ছে না।
গত ১৪ আগস্ট থেকে এ পরীক্ষার খাতা পরীক্ষকদের কাছে পাঠানো শুরু করেছে এনটিআরসিএ। খাতা দেখতে ৩০ দিন সময় দেয়া হচ্ছে। সে হিসেবে ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষকদের খাতা এনটিআরসিএতে ফেরত পাঠাতে হবে।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকজন পরীক্ষক খাতা নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে খাতা এখনও নিয়ে যাননি। বেশ কয়েকবস্তা খাতা এনটিআরসিএ কার্যালয়ে এদিন দুপুর পর্যন্ত ছিল।
এ সংক্রান্ত এ প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহিল আজম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দেশের অস্থিতিশীল অবস্থায় খাতা সঠিক সময়ে পাঠানো যায়নি।
এখন আমাদের খাতা ফেরত পাওয়ার কথা ছিল। তবে এখন আমরা মাত্র খাতা পাঠাচ্ছি। খাতা দেখার কার্যক্রম শেষ হলে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
কবে নাগাদ এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে?-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশা করছি সেপ্টেম্বর মাস অতিক্রম করবে না।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা-২০০৬ এর সংশোধনে বলা আছে, লিখিত পরীক্ষার ফল পরীক্ষা গ্রহণের ৪৫ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। তবে অনিবার্য পরিস্থিতিতে সময়সীমা ১৫ দিন বৃদ্ধি করা যাবে।
অর্থাৎ বিধিমালা মেনে লিখিত পরীক্ষার ফল ৬০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হতো এনটিআরসিএকে। তবে, করোনা মহামারীর কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফল বিধিমালা মেনে প্রকাশ করা হয়নি।
গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এতে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে পাস করেছিলেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন চাকরিপ্রার্থী। গত ১২ ও ১৩ জুলাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ওই প্রার্থীরা।
এর আগে গত ১৫ মার্চ প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।