21 C
Dhaka
Monday, December 23, 2024

শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এবার গড় পাসের হার বাড়লেও কমেছে মোট জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। একই সঙ্গে বেড়েছে শতভাগ পাশ ও শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা।

রোববার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এসব তথ্য জানান। এর আগে সকালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, চলতি বছর শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮টি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৩৫৯টি। বছরের ব্যবধানে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৬০৯টি। অন্যদিকে চলতি বছর একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫১টি। গত বছর সে সংখ্যা ছিল ৪৮টি। বছরের ব্যবধানে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৩টি।

আরও পড়ুনঃ  ‘জনগণের উপর গুলি চালাব না’ সেনাবাহিনীর এমন সিদ্ধান্তে হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়: রয়টার্স

ভিকারুননিসায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বাঁধভাঙা উল্লাস
পাসের হারে শীর্ষে যশোর, সর্বনিম্ন সিলেটে
জিপিএ-৫ ও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা
শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে— জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষার্থীরা। বিকল্প পদ্ধতিতে কীভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যায়, তা বিবেচনা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যেসব স্কুলে শূন্য পাস সেখানে শিক্ষার্থী হয়ত একজন, ‍দুজন বা দশজনের কম। এসব প্রতিষ্ঠান যদি এমপিও নেয় তবে তাদেরকে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা যায় কি না সেটা ভাবা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  নতুন করে পদায়ন ও নিয়োগের কার্যক্রম চলছে : শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং কারিগরিতে পাসের হার ৮১.৩৮ শতাংশ।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৬ হাজার ৩৯৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৩ হাজার ৪৫ হাজার ৬৭৮। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৫। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৫ জন। এরমধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২০৬। কারিগরি বোর্ডের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৫৩৮ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৯৯ হাজার ৭২১। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৮ জন।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ