21 C
Dhaka
Monday, December 23, 2024

শিক্ষিকার আপত্তিকর টিকটক, ডুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) আর্কিটেকচার বিভাগে সম্প্রতি প্রভাষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত নিশাদ জাহান ইতু মিয়াজির টিকটকে বিভিন্ন আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিলের দাবি তুলে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আন্দোলন করেছেন। এ ধরনের ভিডিও বানানোর জন্য ইতু মিয়াজি বেশ আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত বলে জানা যায়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, টিকটকে ভিডিও নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা এমন শিক্ষক চাই না, যার রুচিবোধ, আচার-আচরণ সমাজের প্রচলিত শিক্ষক, শিক্ষাব্যবস্থা কিংবা সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একজন শিক্ষক শুধু পড়ালেখা শেখাবেন বিষয়টা এমন নয়। তার সামগ্রিক সবকিছু শিক্ষার্থীরা ফলো করে, তার কাছে থেকে পড়াশোনার বাইরেও নানান কিছু শিখে। ইতু মিয়াজী কুরুচীকর ভিডিও করেন বলেই তারা তাকে শিক্ষিকা হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না।

আরও পড়ুনঃ  সুধা রানী হবেন হাদিসের প্রভাষক! দায় কার?

আন্দোলনের সময় এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকের কাছ থেকে আমরা সবকিছু শিখি। তারা যদি এ ধরনের কনটেন্ট আমাদের দেখায় তাহলে আমরা কি শিখবো।

ইতু মিয়াজি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করেছেন। চলতি মাসের ১৯ তারিখে ইতু মিয়াজিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয় ডুয়েট কর্তৃপক্ষ। এর কিছুদিন পর ইতু মিয়াজির আপত্তিকর ভিডিওগুলো নিয়ে ক্যাম্পাসে এবং ফেসবুকে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একাধিক ভিডিও পাওয়া গেছে। যার মধ্যে একটি ভিডিওতে ইতু মিয়াজিকে বলতে শোনা যায়, ‘জন্ম থেকে যখন আমি প্রথম চোখ খুলি তখন আমার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে আমি টিকটকার হবো। আরেকটি ভিডিওতে তিনি বলেন, যারা ছাগল, গরু চোর, ওরা টিকটক করে।

আরও পড়ুনঃ  ট্রাফিকের কাজ করা শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, টিকটিক ভিডিও তৈরি করা নিয়ে আমাদেরও কোনো আপত্তি নেই। আপত্তি করছি তার কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট নিয়ে। কিন্তু যেহেতু শিক্ষকতা একটা মহান পেশা, তিনি শিক্ষার্থীদের নীতি নৈতিকতার শিক্ষা দেবেন, সেখানে এ ধরনের একজন ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া আসলেই বেমানান।

এ বিষয়ে আর্কিটেকচার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বায়েজিদ ইসমাইল চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ইতোমধ্যে ওই শিক্ষিকাকে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার পাশাপাশি বুধবার থেকে তাকে এক সপ্তাহের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করতে শিগগির একটি কমিটি গঠন করা হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ