25 C
Dhaka
Monday, December 23, 2024

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বান নুরের

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালে নির্বাচনে ভারত হাসিনাকে একচ্ছত্র সমর্থন দিয়েছিল। সারা বিশ্ব যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে তখনো ভারত হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে মরিয়া ছিল।

ভারতকে বলব, আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখুন। একটা দলের জন্য সম্পর্ক নষ্ট করবেন না। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। শেখ হাসিনাকে অন্য দেশে পাঠানোর তদবির না করে অবিলম্বে বাংলাদেশে পাঠানো হোক, তা না হলে ভারতীয় হাইকমিশনার ঘেরাও করবে গণ অধিকার পরিষদ।’

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে বিজয়নগর আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এক সম্প্রীতি সমাবেশ এসব কথা বলেন নুর। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী শান্তি-শৃঙ্খলা ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় এ সমাবেশের আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ।

আরও পড়ুনঃ  তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচে, বন্যার শঙ্কা নেই

সমাবেশে ভিপি নুর বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। তাদের উচিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা। আশা করি, এই সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে। বাংলাদেশ থেকে যে টাকা পাচার করেছে সে পাচারকারীদের এই সরকার অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করবে।

নুর আরো বলেন, ছাত্র-জনতা যখন বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছে তখন একদল মানুষ নৈরাজ্য করছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দখলদারি চালাচ্ছে, লুটপাট করছে। এসবের মূল উদ্দেশ্য ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ব্যর্থ করা।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের তেজ ছড়িয়ে পড়েছে পাক-ভারতে? মমতা ব্যানার্জীর মতও তাই

তাই ছাত্র-জনতাকে বলব, নৈরাজ্যরোধে পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ কমিটি গঠন করুন। এসব নৈরাজ্য গণ অধিকার পরিষদ, বিএনপি ও জামায়াত করছে না। এগুলো কারা করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উচিত তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা।’

সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘বিপ্লবের পরে আবার প্রতিবিপ্লব ঘটার সম্ভাবনা থাকে। ইতোমধ্যে সর্বত্র বিশৃঙ্খলা, ডাকাতি, রাহাজানি, হানাহানি শুরু হয়েছে। এগুলো কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়।

আমাদের অর্জনকে বিতর্কিত করতে এই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আসুন, সবাই মিলে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করি। জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মাণে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভূমিকা রাখি। এই বাংলাদেশে আর কখনোই কোনো শেখ হাসিনা তৈরি হতে দেওয়া যাবে না।’

আরও পড়ুনঃ  বিজয় সরণির বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হচ্ছে

গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ও রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় সংহতি জানিয়ে সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সুকুমার বড়ুয়া,

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক অধ্যাপক লতিফ মাসুম, দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শওকত প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ