সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের মরদেহ উদ্ধারের খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম। মরদেহ দ্রুত দেশে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন বাবা হত্যার বিচার দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। কারা (হত্যা) করেছে, কেন করেছে- এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমি এর শেষ পর্যন্ত দেখতে চাই। আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে এটা আমি দেখতে চাই।’
বুধবার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
‘বাবাকে হারিয়ে আমি আজ এতিম হয়ে গেছি’, উল্লেখ করে ডোরিন বলেন, ‘আমার পড়াশোনাও এখনও শেষ হয়নি, এখনও মাঝপথে।… আমার বাবা অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় ভর্তি করিয়েছেন। সামনে রেজাল্ট দেবে। যাওয়ার আগে আমার বাবা বলে গেছেন, আমি ইন্ডিয়া থেকে এসে কিন্তু তোমার রেজাল্ট চেক করবো। কোনও কথাই তিনি রাখতে পারেননি।’
‘আমি যখন ছোট ছিলাম, আমার বাবা ১৪টা বছর মিথ্যা মামলায় ওলিতে-গলিতে থেকেছেন। আমি যখন একটু বুঝতে শিখেছি, তখন কাছে পেয়েছিলাম। আবার তাকে হারিয়ে ফেললাম। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন।… আমি আমার সচক্ষে দেখতে চাই, কারা আমার বাবাকে হত্যা করলো, এভাবে আমাকে এতিম করলো।’
সাত-৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার সকালে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাট থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধারের খবরে আসে। এতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নেতাকর্মীদের মাঝে।
স্বজনরা জানান, গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার দর্শনা দিয়ে ভারতে যান আনোয়ারুল আজিম। গত ১৫ মে সকালে পরিবারকে বার্তা পাঠান তিনি দিল্লি পৌঁছেছেন। এরপর থেকে তার সাথে আর কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি স্বজনরা।
তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।