সরকার পতনের পর থেকেই পলাতক নাজমুল হাসান পাপন। অধিকাংশ পরিচালকরাও আসছেন না ক্রিকেট বোর্ডে। গতকাল আবার পদত্যাগ করেছেন জালাল ইউনূস, যিনি দায়ীত্বে ছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্সের।
জোড় গুন্জন আছে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পরামর্শে তামিম বসছেন এই পদে। হয়ে যাচ্ছে সাকিব মুশফিকদের বস।
গতকাল বিসিবি পরিদর্শনকালেও উপদেষ্টার সাথেই সার্বক্ষণিক ছিলেন তামিম। ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন পুরো বিসিবি প্রাঙ্গন। ছিলেন এক মিটিংয়েও।
শেষ ওভারের ঘটনা। শিরোপা ছুঁতে হলে ৬ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ১৬ রান। প্রথম বলটা করলেন হার্দিক পান্ডিয়া, লং অফ দিয়ে উড়িয়ে দিলেন মিলার।
বল বাতাসে ভেসে বাউন্ডারি ছোঁয়ার আগেই দৌড়ে এসে তালুবন্দি করেন সূর্যকুমার। তবে ব্যালেন্স রাখতে না পেরে বাইরে ছুঁড়ে দেন এবং ফিরে এসে ক্যাচ নেন। তবে মূল সমস্যাটা হয়েছে ক্যাচ ধরার সময়, বাউন্ডারি রোপ মূল সীমানা থেকে সরে ছিল।
যদি দড়ি মূল সীমানা থেকে সরে গিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আইন কী বলে? ক্রিকেটের ‘অ্যালমানাক’ খ্যাত উইজডেন জানাচ্ছে, আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী ১৯.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সীমানা চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত কোনো কঠিন বস্তু যদি কোনো কারণে বিঘ্নিত (সরে যায়) হয়, তাহলে সীমানাটির আসল অবস্থান বিবেচনা করা হবে।’
১৯.৩.২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সীমানা চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত কোনো কঠিন বস্তু যদি কোনো কারণে বিঘ্নিত (সরে যায়) হয়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব তা ঠিক করতে হবে। খেলা চলতে থাকলে বল ডেড হওয়ামাত্রই এ কাজ করতে হবে।’
আইসিসির নিয়ম তাহলে সরাসরি বলছে মিলারের ক্যাচটি অবৈঠ ছিল। মিলারের ক্যাচটি ছক্কা হলে বিশ্ব হয়তো নতুন চ্যাম্পিয়ন পেয়ে যেতো।