সরকার পতনের জেরে বিভিন্ন থানা হেফাজতে প্রশ্ন পুড়ে যাওয়ায় শেষ করা যায়নি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো গত ১১ আগস্ট থেকে শুরু করার কথা থাকলেও তা হয়নি।
একমাস পিছিয়ে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পরীক্ষাগুলো শুরু হওয়ার কথা আছে। তবে আর পরীক্ষায় বসতে চাচ্ছেন না পরীক্ষার্থীরা। তারা বাকি বিষয়গুলোতে অটোপাসা বা অটো প্রমোশন চাচ্ছেন।
অটোপাসের দাবি তুলে আন্দোলনেও নেমেছেন পরীক্ষার্থীরা। গত ১৫ আগস্ট নতুন সময়সূচি প্রকাশের পর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করেছেন তারা।
সোমবারও (১৯ আগস্ট) রাজধানীসহ সারাদেশে অটোপাসের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন পরীক্ষার্থীরা। তাছাড়া ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের সামনেও বিক্ষোভ করেছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের অনেক সহপাঠী পরীক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসাধীন। তাছাড়া বিভিন্ন থানায় রাখা প্রশ্নপত্র পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা আর বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশ নিতে চান না।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর মোর্চা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানাবেন। শিক্ষা বোর্ড বা এর চেয়ারম্যান বা কর্মকর্তারা এ সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।
নতুন দায়িত্ব নেয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি অবগত আছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি।
শিক্ষা বোর্ড কী বলছে বা কী সমস্যা, সেটা শিক্ষা উপদেষ্টাকে অবগত করা হবে। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, তা বোর্ডে জানানো হবে। বোর্ড সেই মোতাবেক কাজ করবে।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। স্থগিত পরীক্ষাগুলো আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা আছে।