রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের খবর প্রকাশিত হয়েছে। আর এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের সাহায্যকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের নাম উঠে এসেছে।
এ বিষয়টি সামনে আসতেই রাশিয়ান সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসাটম।
গতকাল সোমবার এক বার্তায় রোসাটম কর্তৃপক্ষ জানান, গণমাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনৈতিক আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রকাশিত বা প্রচারিত সংবাদটি রোসাটম প্রত্যাখ্যান করছে।
এতে আরও বলা হয়, রোসাটম তার সব প্রকল্পে উন্মুক্ত কর্মপন্থা, দুর্নীতি প্রতিরোধ নীতি এবং ক্রয় পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ব্যবসা প্রক্রিয়ায় উন্মুক্ততা বাহ্যিক নিরীক্ষার মাধ্যমে নিয়মিতভাবে নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। রোসাটম তার নিজস্ব সুনাম ও স্বার্থ রক্ষায় আদালতের শরণাপন্ন হতেও প্রস্তুত।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত/প্রচারিত রূপপুর প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের তথ্যগুলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে কলঙ্কিত করার একটি প্রয়াস। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি সমস্যার সমাধান এবং জনগণের কল্যাণের স্বার্থে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ আগস্ট গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়। এতে মধ্যস্থতা করেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও তার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক।
সম্প্রতি এ বিষয়ে নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি। এটি ২০১৮ সালে চালু হয় এবং বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে থাকে।