বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী শাফিক উদ্দিন আহম্মেদ আহনাফ ও ইকরামুল হক সাজিদের স্মরণে ‘শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও দোয়া’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় আহনাফের স্মরণে ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজে ‘আহনাফ দিবস’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) কলেজের শাহীন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারের এয়ার অধিনায়ক ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল মো. শরীফ উদ্দীন সরকার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কলেজ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরাসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আহনাফ বিএএফ শাহীন কলেজ ঢাকা’র একাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং ইকরামুল হক একই কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে শহিদ আহনাফ ও শহিদ সাজিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে শহিদ পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানস্বরূপ চেক হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে আহনাফের মা তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আহনাফ সবসময় চাইতো আবু সাইদ ও মুগ্ধের মতো দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে। আজ এখানে ওর বন্ধুরা আছে কিন্তু আহনাফ নেই। আমার ছেলের জন্য আমার যেমন গর্ব হচ্ছে তেমনি কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে।
আহনাফ ও সাজিদকে অকুতোভয় বীর উল্লেখ করে কলেজ অধ্যক্ষ গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কায়সুল হাসান বলেন, ভবিষ্যতে তাদের এই আত্মত্যাগ সকল শিক্ষার্থীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার প্রেরণা যোগাবে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালীন গত ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আহনাফ। একই দিন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় এবং পরবর্তীতে ঢাকা সিএমএইচ-এ ১৪ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।