এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলসহ সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বুধবার (২১ আগস্ট) বেলা ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা উপদেষ্টা আজ দুপুর ৩টায় সাংবাদিকদের সাথে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন।মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সভা কক্ষে (বিল্ডিং নং-৬, ১৮ তলা) সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী রিট পিটিশনারদের নিয়োগের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ১৩ ও ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে সচিবালয়ের দুই নম্বর গেটে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
এনটিআরসিএ’র ১৩ ও ১৪তম নিবন্ধিত ও নিয়োগবঞ্চিত সকল রিট পিটিশনারদের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচির অন্যতম সমন্বয়ক লিটন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ২০১৮ সালে রিটকারীদের নিয়োগের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ওই রায়ের ওপর এনটিআরসিএ আপিল করলে ২০২০ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নে এনটিআরসিএ ২০২১ সালের ৩১ মার্চ তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং ওই বিজ্ঞপ্তিতে ২২০৭ জনের জন্য শূন্য পদ সংরক্ষণ করে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাদের নিয়োগ সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে নিয়োগ বঞ্চিতদের মধ্যে আরও আড়াই হাজার প্রার্থী রিট করেন। এই রিটকারীদেরও নিয়োগের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
তিনি বলেন, ২২০৭ জন এবং আমাদের মামলার গ্রাউন্ড একই। রায়ও একই। তবে একটি গ্রুপকে নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও তাদের সুপারিশ করা হচ্ছে না। অথচ প্রাপ্ত নম্বর এবং মেধাতালিকায় আমরা এগিয়ে রয়েছি। আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য একাধিকবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও তার কোনো জবাব দেয়নি এনটিআরসিএ।
মো. মশিউর রহমান নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানছে না এনটিআরসিএ। দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
আমাদের সরাসরি নিয়োগের কথা বলে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। আমরা নম্বর এবং মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের নিয়োগ সুপারিশ করতে একাধিকবার এনটিআরসিএতে স্মারকলিপি দিয়েছি। তবে আজও আমাদের নিয়োগ হয়নি।