21 C
Dhaka
Monday, December 23, 2024

বিচারপতি সিনহাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেন শেখ হাসিনা

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা তার দেশত্যাগের কারণ হিসেবে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। এক্সক্লুসিভ এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কীভাবে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল এবং সে সময় কী কী ঘটেছিল তার সঙ্গে।

সংবিধানের ষোড়ষ সংশোধনী বাতিলের রায় দেওয়ার পর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে পদ ও দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বিচারপতি এস কে সিনহা। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু নজিরবিহীন এক পরিস্থিতির মধ্যে তার কার্যকাল শেষ হয় মেয়াদের ৮১ দিন আগেই। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের তোপের মুখে ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর তিনি সেখানে থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।

আরও পড়ুনঃ  বিসিবিতে এই প্রথমবার ইতিহাস গড়ল নতুন সভাপতি ফারুখ আহমেদ

গত ১৪ আগস্ট ইংরেজী দৈনিকে দেওয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বিচারপতি সিনহা বলেন, সরকার তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট তা প্রমাণ করতে প্রস্তুত আছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে ফিরে যাব, এখন শুধু আমি গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় আছি। আমি সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করব এবং প্রমাণ করব যে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলি মিথ্যা।

সাক্ষাৎকারে এস কে সিনহা বিশদ আলোচনা করেছেন, তিনি বর্ণনা করেছেন কীভাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রেখেছিলেন এবং ডিজিএফআই সদস্যদের মাধ্যমে তাকে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলেন। কারণ তিনি শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও হস্তক্ষেপ উপেক্ষা করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  নতুন বিসিবি সভাপতি নিয়ে ইমরুল কায়েসের পোস্ট ভাইরাল, চারদিকে তুমুল আলোচনা

সাবেক এই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার শেষ দিনগুলো খুবই ভয়ংকর ছিল, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কারণ এটি উপলব্ধির প্রশ্ন। একজন বর্তমান প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। আমাকে কারও সাথে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি।

আমার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল, আমার বাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনী (গোয়েন্দারা) স্ট্যান্ড গার্ড হিসেবে ছিল। তারা আমার বাড়িতে ঢোকার সময় আমার এক কর্মীকে মারধর করে। ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন প্রধান সাইফুল আবেদীন মধ্যরাতে আমাকে বিরক্ত করতেন এবং পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার জন্য চাপ দিতেন।

আরও পড়ুনঃ  টাকার বিনিময়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন ‘প্রভাবশালীরা’, বদলাচ্ছেন পরিচয়

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের তার সহকর্মীরা (বিচারক) সরকারের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আদালতে তার সঙ্গে বসতে অস্বীকৃতি জানান। প্রচণ্ড মানসিক চাপে ফেলে তাকে জানানো হয়, হাইকোর্টের বিচারকরা তাকে সহযোগিতা করবেন না।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ