বৈধ উপায়ে আর মাত্র ২৫ দিন ভারতে থাকতে পারবেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ওইদিন ভারতে আশ্রয় নেন। ইতোমধ্যে তিনি ভারতে তিন সপ্তাহ কাটিয়ে ফেলেছেন।
গত সপ্তাহেই শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের সবার কূটনীতিক লাল পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। এই পরিস্থিতিতে ভারতে অবস্থানের সময় ফুরিয়ে আসছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যেহেতু শেখ হাসিনার লাল পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে; তাই (নিয়ম অনুযায়ী) তার ভারতে অবস্থানের সময় ফুরিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশি একটি গণমাধ্যমের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শেখ হাসিনা যখন দেশ থেকে পালান তখন তার কাছে শুধু লাল পাসপোর্টই ছিল। তার সঙ্গে সাধারণ সবুজ পাসপোর্ট ছিল না।
এদিকে ভারতের ভিসা নীতি অনুযায়ী, যেসব বাংলাদেশির কাছে কূটনীতিক লাল পাসপোর্ট আছে তারা ভিসা ছাড়াই ভারতে প্রবেশ এবং সর্বোচ্চ ৪৫ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারেন।
শনিবার (২৪ আগস্ট) পর্যন্ত শেখ হাসিনা ২০ দিন ভারতে কাটিয়ে ফেলেছেন। ফলে বৈধ উপায়ে আর মাত্র ২৫ দিন ভারতে থাকতে পারবেন তিনি, এরপরই অবৈধ হয়ে যাবেন শেখ হাসিনা।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কূটনীতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় শেখ হাসিনার ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫১টি মামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪২টি হত্যা মামলা।
এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে। শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়টি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া চুক্তির মধ্যে পড়বে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
যদিও চুক্তিটি ২০১৬ সালে সংশোধন করা হয়। এতে বলা হয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় করা মামলার আসামি হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ বা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানো যাবে।
কিন্তু এই চুক্তিতে হত্যা মামলার বিষয়টি স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যদি মামলা ‘ন্যায়বিচার না করার উদ্দেশ্যে করা হয়’ তাহলেও দুই দেশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ না করার ক্ষেত্রে অস্বীকৃতি জানাতে পারে।