সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভকারী আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টার পর এ ঘটনা ঘটে। রাত ১০টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলেছিল। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন, তাদের সবাই শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা সচিবালয় এলাকায় গুলির শব্দ পেয়েছেন। আনসাররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর করছেন। ঘটনাস্থল থেকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে।
আজ দুপুরের পর সচিবালয়ের সামনে ও অন্য গেটগুলোর সামনে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারী আনসাররা। বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচির কারণে সচিবালয়ে কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারেননি। পাঁচটি ফটকই বন্ধ করে রাখতে হয়েছে।
এদিকে সবকয়েকটি গেট বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন অনেকেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন কাজে আসা অনেকে বের হতে না পেরে সচিবালয়ের ভেতরের গেটগুলোর সামনে অবস্থান করছেন। ভেতরে আটকা পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাও।
সমন্বয়ক সারজিস আলম রাত সাড়ে আটটার পর দেয়া এক ফেসবুক পোস্টে জানান, সবাই রাজুতে আসেন। স্বৈরাচারীশক্তি আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে। দাবি মানার পরও আমাদের সবাইকে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে। একই বার্তা দিয়েছেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহও।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হল থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন। ছোট-বড় দল হয়ে বিভিন্ন স্লোগানও দেন তারা।
পরে সমন্বয়কদের আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে দুই দিন ধরে আন্দোলন করছেন আনসার সদস্যরা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার। তাঁদের আশ্বাস দেওয়ার পরও চাকরি জাতীয়করণ করা হয়নি।
দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত সচিবালয় থেকে কাউকে বের হতে দেবেন না এবং কাউকে প্রবেশ করতে দেবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী আনসাররা।