রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে ৩৫ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে শিক্ষার্থীদের তাড়া খেয়ে আনসার সদস্যরা সচিবালয় এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।
রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে সচিবালয়ের সামনে থেকে পালিয়ে যায় আনসার সদস্যরা।
আনসারদের আক্রমণে আহত হয়ে একের পর এক শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসছেন। এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে পৌঁছেছেন। তাদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর। প্রত্যেকেই মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন।
রাত নয়টার পর থেকে শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে সচিবালয় সংলগ্ন সড়কগুলো। সচিবালয়ের ভেতর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। তাদের সঙ্গে আছেন সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা সচিবালয় এলাকায় গুলির শব্দ পেয়েছেন। আনসাররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর করছেন। প্রথম আলোর ঢাবি প্রতিনিধি আসিফ হিমাদ্রি আনসারদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
অপর একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালাচ্ছেন।
দুপুরের পর সচিবালয়ের সামনে ও অন্য গেটগুলোর সামনে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারী আনসাররা। বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচির কারণে সচিবালয়ে কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারেননি।
পাঁচটি ফটকই বন্ধ করে রাখতে হয়েছে। এদিকে সবকয়েকটি গেট বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন অনেকেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন কাজে আসা অনেকে বের হতে না পেরে সচিবালয়ের ভেতরের গেটগুলোর সামনে অবস্থান করছেন।