25 C
Dhaka
Monday, December 23, 2024

আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে ছাড় নেই : আসিফ মাহমুদ

সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বন্যার্তদের ত্রাণ আটকে, সচিবালয় ও যমুনা ঘেরাও করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আর ছাড় দেওয়া হবে না।

সোমবার (২৬ আগস্ট) ভোর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্ট আসিফ মাহমুদ এ কড়া বার্তা দেন।

পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, ৫০ এর অধিক ছাত্র আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে। ৫ জন গুরুতর আহত তবে শঙ্কার বাইরে। সাংবাদিক আসিফ হিমাদ্রিকেও ছাড়েনি আনসারের পোশাকে থাকা দুষ্কৃতকারীরা।

আরও পড়ুনঃ  ভারত থেকে যেখানে যাবেন শেখ হাসিনা

আড়াইটার দিকে আনসার সদস্যদের উদ্দেশে সরাসরি বক্তব্য দেন নাহিদ ভাই। তারপর তাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বসে ‘বাধ্যতামূলক ছুটি বাতিলের’ দাবিটি তাৎক্ষণিক মেনে নিলে সেখানেই প্রেস ব্রিফিং করে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন আনসার আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। আলোচনার সময় আন্দোলনের ভেতরে অনুপ্রবেশকারী এবং উগ্র মানসিকতার কিছু উসকানিদাতা আছে বলে জানিয়েছেন তারা।

আন্দোলন স্থগিত করে সাধারণ আনসারদের মূল অংশটি চলে যায়। সারাদেশেও আন্দোলন স্থগিত করে তারা। তারপরও ৬টা থেকে আরেকটি অংশ সচিবালয়ের গেটগুলো অবরুদ্ধ করে রাখে এবং ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়।

আরও পড়ুনঃ  বোর্ড কর্তাদের দাঁড়িয়ে পরিচয়পর্ব, ক্রীড়া উপদেষ্টার আচরণ দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সমর্থক দের, বিসিবি যা বলছে

এর আগেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যমুনায় চলে গিয়েছিলাম আমি। পরে জানতে পারি গণঅভ্যুত্থানের আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলতে ও আনসারদের আন্দোলনে সৃষ্ট যানজটে ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে পড়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কথা বলতে এসে আটকা পরেন সমন্বয়ক সার্জিস ভাই আর হাসনাত ভাই। এছাড়াও সাতজন উপদেষ্টাও আটকে ছিলেন সচিবালয়ে।

আন্দোলনের সাংবিধানিক অধিকারের কথা চিন্তা করে এতদিন সরকার শক্ত অবস্থান নেয়নি। তবে আন্দোলনের নামে বন্যার্তদের ত্রাণ আটকে, সচিবালয়, যমুনা ঘেরাও করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আর ছাড় দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুনঃ  অপসারন করা হলো সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতিকে

জাতীয় স্বার্থের আন্দোলন করে আমাদের সহস্রাধিক শহীদ হয়েছেন। জীবন ও রক্তের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা। এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ব্যক্তি স্বার্থের দাবিতেএসে বিশৃঙ্খলা করে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়া যাবে না। আন্দোলন হবে যৌক্তিক দাবিতে এবং নিয়মতান্ত্রিক ভাবে।

ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, ইন্ধনদাতা সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ