19 C
Dhaka
Monday, December 23, 2024

মাত্র ৯৪ দিনে সম্পূর্ণ কোরআন শরীফ মুখস্থ করলেন ৯ বছরের নুসাইব

মাত্র ৯৪ দিনে পবিত্র কোরআনুল কারীমের হিফজ সম্পন্ন করেছে ৯ বছর বয়সি নুসাইব কুদরতী।

নুসাইব কুদরতী রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরের রূপনগরে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।

হিফজুল কোরআন বিভাগের বিস্ময়কর এ প্রখর মেধাবী ছাত্রটি খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার অধিবাসী নিয়ামত আলী কুদরতীর ছেলে।

নুসাইব কুদরতীর শিক্ষক আন্তর্জাতিক হাফেজ কারি ফরহাদ বিন নাসেরী বলেন, ‘মহাগ্রন্থ আল কোরআনের অলৌকিক মুজিজায় এমন ঘটনা বিশ্বে প্রায়ই ঘটছে।’

‘আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের শিক্ষার্থী নুসাইব কুদরতী মাত্র ৯৪ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেছেন। আমরা তার সাফল্য কামনা করি। তবে কোরআন মুখস্থ করার বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। বরং এর পেছনে শিক্ষক থেকে শুরু করে বাবা মায়ের অনেক চেষ্টা শ্রম ও আত্মত্যাগের প্রয়োজন। একজন কোরআনে হাফেজ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। আল্লাহ এ শিশুকে দীনের জন্য কবুল করুন’, যোগ করেন ফরহাদ বিন নাসেরী।

আরও পড়ুনঃ  ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

নুসাইব কুদরতীর শিক্ষক আরও বলেন, ‘নুসাইব শুরুতে ২ পৃষ্ঠা করে সবক দিলেও, শেষের দিকে দিনে ১০ পৃষ্ঠা করে সবক দিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।’

প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক ক্লাস প্রি-প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। প্রত্যেক মাসে মূল্যায়ন পরীক্ষা ও ইন্টারভিউর মাধ্যমে প্রতিটি বাচ্চাকে কাউন্সিলিং করা হয় এবং তাকে পরবর্তী সেশনে উত্তীর্ণ করা হয়। এভাবে প্রত্যেকটি বাচ্চাকে আমরা টার্গেট ফিক্সড করে পড়াশোনা করাই। সেই টার্গেটভিত্তিক নুসাইব আন্তরিকতার সাথে মেহনত করেছে এবং শিক্ষক তার পেছনে সর্বস্ব ব্যায় করে তাকে যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন।’

আরও পড়ুনঃ  সমাজের হৃৎপিণ্ডে কতটা পচন ধরলে এমন অফার দেখা যায়: শায়খ আহমাদুল্লাহ

নুসাইবের বাবা নিয়ামত আলী কুদরতী ও তার মা আশা করেন, তাদের ছোট্ট সন্তান একসময় বড় আলেম হবে এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামের খেদমত করবে।

ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মামুনুর রশীদ বলেন, এ ছেলেটি পাঁচ বছর বয়স থেকে আমাদের এখানে পড়াশোনা করছে। তার বাবা একজন চাকরীজীবী। এমন অনেক বাচ্চা আমাদের এখানে আছে। দীন ও ইসলাম শিক্ষা অর্জন করছে। কোরআনে হাফেজ হচ্ছে, পাশাপাশি স্কুলের পড়াও চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, মাদ্রাসার শিক্ষা এখন আধুনিকই নয়, অত্যাধুনিক। আমি চাই আমাদের সন্তানদের আমরা দীনের শিক্ষা দেব। পাশাপাশি জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত করব। আমরা অনেক বছর ধরে শত শত বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।’

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ